রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কক্সবাজার প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২৩ ২:৪৮ : অপরাহ্ণ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে। মোখার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি। বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু বাড়িঘর, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে।
আজ রোববার দুপুর ১টার পর সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডবে গাছচাপায় নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, সেন্টমার্টিনের ঘাট এলাকায় বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে, সঙ্গে রয়েছে ভারী বৃষ্টি। আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষ। সাগরে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। সমুদ্রের পানি বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে তীব্র বাতাসে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সব ধোঁয়াশা হয়ে আছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, এখন জোয়ারের সময়। যদি বাতাসের সাথে যদি জোয়ার আসে তাহলে সাগরের পানি কূলের মধ্য চলে আসবে। এই মুহূর্তে মানুষ খুবই আতঙ্কিত। তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি অনেকটাই কমে গেছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে আবহাওয়া ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিট্যুয়ে অঞ্চল দিয়ে যাবে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পরিচালক জানান, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর সময় হলো দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা স্থলভাগ অতিক্রম করবে মোখা। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ১২ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত হবে মিয়ানমারে, ঝুঁকি কমেছে বাংলাদেশে