রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, কক্সবাজার প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০২৩ ১১:২১ : পূর্বাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। এলাকার অলিগলিতে চলছে মাইকিং। দ্বীপের সাইক্লোন শেল্টারসহ স্কুল-হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ২টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান ছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র। এর প্রভাবে কক্সবাজারে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে মোখা। ফলে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, ‘মোখা’র আঘাত থেকে বাঁচতে দ্বীপ ছেড়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার অন্তত আড়াই হাজার বাসিন্দা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি সাইক্লোন শেল্টারসহ আরও ২০ থেকে ২২টি স্কুল এবং বিভিন্ন দ্বিতল ভবন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত নৌবাহিনীও। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া সব ফিশিং ট্রলার ও স্পিড বোটগুলো নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল বলেন, সেন্টমার্টিনে সাগরের পানি পরিবর্তন, হালকা বৃষ্টি ও মাঝারি গতির দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত দ্বীপে বিদ্যুৎ নেই। যেকোনো সময় মোবাইল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সবাই খুব শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৭০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে ‘মোখা’
আবুল কালাম নামের একজন বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার পর হালকা বৃষ্টি ও ধীরে ধীরে বাতাস বইতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। দ্বীপে কাজ করতে আসা এবং অবস্থান করা বাইরের শ্রমিকরা ইতোমধ্যেই এলাকা ছেড়েছে। তবে অতীতের মতোই স্থানীয়দের মনোবল ঠিক আছে। দ্বীপবাসীর প্রতি আল্লাহর রহমত আছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিষদের সব সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা এবং নিজ নিজ এালাকায় অবস্থান করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। হোটেল-মোটেলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে আগে থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।