পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ‘অবিলম্বে মুক্তি’ দেওয়ার নিদের্শ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার ইমরান খানের গ্রেপ্তার বেআইনি ঘোষণা করে আদালত এই আদেশ দেন।
পাকিস্তানের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বানদিয়াল প্রশ্ন করেন, আদালত চত্বর থেকে কীভাবে একজনকে গ্রেপ্তার করা যায়?
শুনানির শুরুতে ইমরান খানের আইনজীবীদের একজন হামিদ খান আদালতকে বলেন, তার মক্কেল ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি মামলায় আগাম জামিন চাইতে এসেছিলেন। তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তার বায়োমেট্রিকের কাজ চলছিল। এ সময় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা ইমরান খানের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে ও তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের একটি সম্মান আছে।
অতীতের একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পার্কিং থেকে একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছিল এনএবি। আদালত তখন গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রত্যাহার করেছিলেন।
প্রধান বিচারপতি তখন ইমরান খানের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কতজন রেঞ্জার্স সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে? উত্তরে আইনজীবী জানান, পিটিআই প্রধানকে গ্রেপ্তার করতে ১০০ জন রেঞ্জার্স সদস্য আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকে।
এ সময় এনএবির বিরুদ্ধে ‘আদালত অবমাননা’র অভিযোগ করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বানদিয়াল বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য সবার আদালতে আসার সুযোগ থাকতে হবে। যে কেউ যেন আদালতের দারস্থ হতে নিরাপদ বোধ করেন।
গতকাল বুধবার জাতীয় জবাবদিহি আদালত ইমরান খানের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি এখন জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর জিম্মায় রয়েছেন।
