রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ এপ্রিল, ২০২৩ ২:৩৯ : অপরাহ্ণ
আফ্রিকার একজন নারী ৪০ বছর বয়সে ৪৪ টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নাম মারিয়াম নাবাতানজি। তিনি যখন তার যমজ সন্তানের জন্ম দেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে উর্বর নারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
মারিয়াম পূর্ব আফ্রিকার উগান্ডায় তার লোকদের মধ্যে ‘মামা উগান্ডা’ নামে পরিচিত। নাবাতাঞ্জির সন্তান জন্মদানের কাহিনী শুরু হয়েছিল ১২ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর।
তার বাবা-মা তাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন এবং মাত্র এক বছর পরে তিনি মা হন। যখন নাবাতাঞ্জি ডাক্তারদের কাছে যান তখন চিকিৎসকরা তাকে বলেছিলেন যে তার ডিম্বাশয়টি অস্বাভাবিকভাবে বড়।
যার কারণে হাইপারোভুলেশন নামক অবস্থার সৃষ্টি হয়। চিকিত্সকরা তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি কখনই জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না কারণ সেগুলি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
জানা গেছে যে, নাবাতানজির এই উর্বরতা বংশগত। মুলাগো হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট ডাঃ চার্লস কিগগুন্ডু বলেন, “তার কেসটি হাইপার-ওভুলেটের একটি জেনেটিক প্রবণতা- এক্ষেত্রে কোনো নারীর একটি চক্রে একাধিক ডিম উৎপন্ন হয়-যা একাধিক সন্তানের জন্মের সম্ভাবনাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে।”
নাবাতানজিকে জানানো হয়েছিল যে তার উর্বরতা হ্রাস করতে হলে তাকে সন্তানের জন্ম দিতে হবে।
বর্তমানে, মহিলার চার সেট যমজ, পাঁচ সেট ট্রিপলেট এবং পাঁচ সেট কোয়াড্রুপ্লেট রয়েছে। সেখানে মাত্র একবারই তিনি একক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।
যদিও তিনি ৪৪টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তবে মারিয়াম তার ৬ সন্তানকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তার ২০ টি ছেলে এবং ১৮ টি মেয়ে রয়েছে।
দুর্ভাগ্যবশত, নাবাতানজি একজন একক মা কারণ তার স্বামী তাদের টাকা নেওয়ার পর বিশাল পরিবার পরিত্যাগ করে। সেই থেকে সন্তানদের একাই মানুষ করছেন মারিয়াম নাবাতানজি।
সূত্র : টাইমস নাও