রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:০৭ : অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রদলের কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন-ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কর্মী আব্দুল্লাহেল কাফি।
আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং পরে কাকরাইলে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জানান, শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে তারা দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের ২৫-৩০ নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে এসে তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে ছাত্রদলের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, অতর্কিত এই হামলায় জসিমউদদীন হলের সাবেক জিএস হাসান ইমাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল, সমাজসেবা সম্পাদক আশিক আকাশ, মুহসিন হলের মেহেদী, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব খানসহ ৮-১০ জন অংশ নেয়।
হামলাকারীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারী বলে আহত ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন।
হামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, সৈকতের কর্মীরা ৫-৬ টি বাইকে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা করেছে। আহত মেহেদী ও রাজুর দশটা করে সেলাই লেগেছে। পুরো মুখে এবং দাতে আঘাত করা হয়েছে। আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্য তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম দুই কানেই শুনতে পাচ্ছে না।
তিনি বলেন,ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চায়। আমরা ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অরাজকতা চাইনা। ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই, ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এই হামলা সেটাই প্রমাণ করে।