রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ মার্চ, ২০২৩ ১০:০৩ : পূর্বাহ্ণ
অবশেষে ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় নাম উঠেছে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি ও দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের ৬৩ নম্বর তালিকায় তার নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে।
৩৫ বছর বয়সী রবিউলের জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি।
রবিউল ইসলামের নাম যুক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইন্টারপোলের তালিকায় ৬৩ জন বাংলাদেশি অপরাধী সংস্থাটির রেড নোটিশের আওতায় রয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে।
এর আগে গত ২০ মার্চ পুলিশের আইজি আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইন্টারপোল আবেদন গ্রহণ করেছে।
এর পরপরই দুবাইয়ে আরাভ খানের গ্রেপ্তারের গুঞ্জন উঠে। তিনি দুবাই পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন-এমন খবরও আসে। তবে এখনো আরাভ খান গ্রেপ্তার হননি।
দু’দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। আর কোনো স্ট্যাটাসও দেননি তিনি।
তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার জুয়েলারি শপও বন্ধ রয়েছে।
পরবর্তীতে এ বিষয়টি ইন্টারপোল অবহিত হলে রেড নোটিশ জারি করে। তারই ধারাবাহিকতায় ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে যুক্ত হল রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভের নাম।
গত ১৫ মার্চ পলাতক আরাভের আমন্ত্রণে দুবাইয়ে তার স্বর্ণালঙ্কারের দোকান উদ্বোধন করতে যান ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানসহ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক মামুন এমরান খানকে হত্যার পরপরই রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। ২০২০ সালে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট জোগাড় করে সেখান থেকে দুবাইয়ে চলে যান। আগামী বছর পর্যন্ত সেখানে রবিউলের রেসিডেন্স পারমিট আছে।