শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

এই সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি দিতে গেলে ১ মাস লাগবে: ফখরুল


রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বিকেলে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২৩ ৭:০২ : অপরাহ্ণ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি দিতে গেলে এক মাস সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে আওয়ামী লীগকে সরাতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগের মূল নীতি হলো টাকা পাচার আর দুর্নীতি। এই সরকারের দুর্নীতির ফিরিস্তি দিতে গেলে এক দিনে হবে না, এক মাস লাগবে। যেখানে যাবেন সেখানে দুর্নীতি।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

‘আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এবং বিএনপির ঘোষিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা’ দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।

ইভিএম কেনায় দুর্নীতি, রূপপুর পরমাণবিক কেন্দ্র, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুবাইয়ে পাচার ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। টাকা পাচার করে অর্থনীতিকে একেবারে ফোকলা করে দিয়েছে। ব্যাংকিং খাত থেকে ৮০০ কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। ডলার সংকটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এই দেশে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। সব কিছু ধ্বংস করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘টিআইবি রিপোর্টে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের চাকরির জন্যও ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। আমি বলেছিলাম এই সরকার বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতির প্রধান খাত হিসেবে বেছে নিয়েছে। এর আছে তেল আমদানি খাত। সিআইডি বলেছে- দেশ থেকে প্রতি বছর হুণ্ডির মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। একটা বালিশ কিনেছে ৫ হাজার ৭০০ টাকায়। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকায় বানিয়েছে। আবার নতুন শুরু করেছে পাতাল রেল। উদ্দেশ্য একটাই, লুট। ২১ কিলোমিটার পাতাল রেলে খরচ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা।’

মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দীন আলম, ডা. রফিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রকিবুল ইসলাম বকুল, ইশরাক হোসেন, সাঈদ সোহরাব, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজিব আহসান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর