রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ মার্চ, ২০২৩ ১০:১৪ : পূর্বাহ্ণ
কৃষ্ণ সাগরের ওপর ধ্বংস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা ড্রোন। অত্যাধুনিক ওই ড্রোনটিকে রাশিয়া ইচ্ছা করে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে রাশিয়া বলেছে, তারা কোনো আক্রমণ চালায়নি, ড্রোনটি নিজেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাশিয়ার কাছাকাছি কৃষ্ণ সাগরের ওপর দিয়ে উড়ছিল মার্কিন ড্রোন এমকিউ-৯। এসময় রাশিয়ার সু-২৭ যুদ্ধবিমান হঠাৎ করেই সেখানে হাজির হয় এবং ড্রোনটির উপরে জ্বালানি ফেলে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এরপর সু-২৭ বিমান তাদের ড্রোনকে ধাক্কা দিয়েছিল। যদিও রাশিয়ার তরফ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যখন পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে, তখনই এই ঘটনা ঘটলো।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, রাশিয়ার ফাইটার জেট মার্কিন ড্রোনের ওপর জ্বালানি ফেলে দেয় এবং পরে এটিকে ধাক্কা দেয়। রাশিয়ার এই কৌশলকে ‘বেপরোয়া’ বলেও নিন্দা করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
এসময় রাশিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান ছিল বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড।
মার্কিন কমান্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষের আগে সু-২৭ বিমান থেকে বারবার ড্রোনটির উপরে জ্বালানি ফেলা হচ্ছিল। বিষয়টিকে অপেশাদার বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মার্কিন ওই ড্রোনটি বিধ্বস্ত করানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এমকিউ-৯ মনুষ্যবিহীন আকাশযানটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে উচ্চতা হ্রাস করে এবং পানির পৃষ্ঠের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার ওই দু’টি যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মার্কিন ড্রোনের কোনও ধরনের সংঘর্ষ বা ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেনি এবং রুশ বিমান তাদের অস্ত্রও ব্যবহার করেনি।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এরইমধ্যে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, কৃষ্ণসাগরে রুশ বিমানের মুখোমুখি হওয়া সাধারণ ঘটনা। তবে এই ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।