রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ মার্চ, ২০২৩ ৬:৪৮ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘অনির্বাচিত, স্বঘোষিত, প্রবল প্রতাপশালী, অহংকারী, দাম্ভিক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার ওপর কোনো চাপই কাজ করবে না। এতেই বোঝা যায়, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তার কোনো দায়িত্ব-সম্মানবোধ নেই। এই রাষ্ট্রকে একটা সত্যিকার অর্থে কার্যকর রাষ্ট্র করার চিন্তা তার নেই।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংলাপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সত্যের অপলাপ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সংলাপের ফল কী? আমাদেরও প্রশ্ন হোয়াট ওয়াজ দ্য রেজাল্ট। প্রধানমন্ত্রী সকলের সামনে মিটিংয়ে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন পর্যন্ত পুলিশ আর গ্রেপ্তার করবে না, কোনো মামলা দেবে না। কিন্তু তারা কোনো কথা রাখেননি। এরপরও তার অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কী করে? শুধু বিএনপি নয়, আজকে সব রাজনৈতিক দল বলছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের আমলে ভোট চুরির সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর চাপ পড়ছে। কারণ বিগত দুইটি নির্বাচন তারা একতরফা করেছে। নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। কিন্তু আগামীতে তা পারবে না। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। সত্যিকার অর্থে যদি সুষ্ঠু ভোট হয়, তাহলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই বিদেশিরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বলছেন, সব কিছু ঠিক আছে। কিন্তু আমরা বলছি, কিছুই ঠিক নেই। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি কোনো ছাড় দেবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং সংলাপ দুইদিক থেকে নাকচ হওয়ায় আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে সংলাপ নাকচ করে দিয়েছি। এতে অবশ্যই অবশ্যই এবং আগামী নির্বাচন শুধু অনিশ্চিত নয়, আরও খারাপ কিছু ঘটবে, এর জন্য দায়ী থাকবে আওয়ামী লীগ।’
সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিডিয়া অনেক কিছু করতে পারে। এরশাদের পতন মিডিয়ার কারণে ত্বরান্বিত হয়েছে। এখনও মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে। কারণ দেশটা সাংবাদিকদেরও-এটা মনে রাখতে হবে।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন- তার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা মিথ্যাচার। এটা সৌজন্যমূলক নয়। কত টাকা দিয়ে কে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পায়, কত টাকা দিয়ে কে মন্ত্রিত্ব পায়- এগুলো আমরাও জানি। ’
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সমবায় কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন।