রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ মার্চ, ২০২৩ ৯:৩৩ : অপরাহ্ণ
দাম নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বহুল আলোচিত ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে আসা শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে ভারতের ঝাড়খাণ্ডে কোড্ডা জেলায় স্থাপিত আদানির গড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা সুমন জানান, সন্ধ্যা থেকে আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ মেগাওয়াট আসছে। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ বাড়বে।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও আদানি পাওয়ারের মধ্যে বিদ্যুৎ কেনার এই ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাড়খন্ডে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। সেই বিদ্যুৎ দেশে এনে জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে বিশেষ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অংশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন স্থাপনা নির্মাণ করছে পিজিসিবি।
কিন্তু আদানির বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়া নিয়ে বির্তক চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বিতর্কের মধ্যেই আদানির গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর তোড়জোড় হয়।
কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২৬ মার্চ। তবে গত বুধবার রাতেই পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রটি চালু করা হয়। সে সময় ৭৪৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেছে।
গত মাসে দেয়া প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার অনুযায়ী আদানির এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২৫ টাকার বেশি। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া রয়েছে ৫ টাকা ১১ পয়সা।
বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে এতে বেশি কেন্দ্র ভাড়া দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আদানিকে কয়লার সিস্টেম লসসহ বেশ কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে, যা আর কাউকে দেয়া হয়নি।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম, বিদ্যুতের সঞ্চালনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ মার্চ ভারতে যাবেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দুটি ইউনিটে মোট এক হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাসম্পন্ন। এর মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের ইউনিটটি চালু হলো। দ্বিতীয় ইউনিটেরও এ বছরেই উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বাণিজ্যকভাবে চালু হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা একনাগাড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে হবে। এরপরে ঠিক হবে কেন্দ্রটির স্থাপিত ক্ষমতা। সে অনুযায়ী কেন্দ্রটি ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাবে।