রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:০১ : পূর্বাহ্ণ
দেশের বাজারে এখন রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি কেজি ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরিবের গরুর মাংসখ্যাত এই মুরগির কেজি এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা।
এর আগে দেশের বাজারে কখনো ব্রয়লার মুরগির কেজি এত দামে বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এই পণ্যটি। প্রোটিন যোগানদানকারী এই ব্রয়লার মুরগি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন তারা।
এদিকে বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। বাজারে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো।
গতকাল সেগুনবাগিচা ও মালিবাগ বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায়।
বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। গত এক মাসে দেশি মুরগির দামে অবশ্য বড় কোনো পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, খাদ্য ও বাচ্চার মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুরগির দাম একটু বাড়তে পারে। তবে এখনকার দাম মাত্রাতিরিক্ত। এত বেশি দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হোক, সেটি আমরাও চাই না।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিবছর ফার্মের মুরগির চাষ হয় ৩১ কোটি ১৮ লাখ। গত কয়েক বছরে উৎপাদন ক্রমে বেড়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজার চাহিদার সঙ্গে উৎপাদন বাড়লেও কাঁচাবাজারের মতো ডিম ও মুরগির বাজারেও সময়ে–সময়ে অস্থিরতা দেখা দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে অভিযান ছাড়াও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এবার বাজারে কম দৃশ্যমান হচ্ছে সরকারি তৎপরতা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাজারে ডিম ও মুরগির দাম ঠিক কত হলে যৌক্তিক হবে, সেটি নির্ধারণ করা নেই। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সেই সুযোগও নেই। তবে সরকার যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে, সেসব পণ্যের দামে ক্রেতারা ঠকছেন কি না, সেটি নিয়মিতভাবে তদারক করা হয়।