রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১:০২ : অপরাহ্ণ
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, এইচএসসি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা (বিএম) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে সার্বিক পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত বছর মোট পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসিতে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৯১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে পাশের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আজ বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কম্পিউটারের বোতাম চেপে প্রধানমন্ত্রী এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা স্ব স্ব বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৮ লাখ ১৭ হাজার ২৩০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৯০৯ জন। গত বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে পাশের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫২২ জন।
এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯০ হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৮৩ হাজার ৫৫৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৪২৩ জন। গত বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ছিল ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৮৭২ জন।
এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ১১ হাজার ২০৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ১০৪ জন। গত বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৭৭৫ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী।
রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী।
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন শিক্ষার্থী।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন।
বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষার্থী।
যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৬ জন শিক্ষার্থী।
দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী।
ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন।
গত বছরের ৬ নভেম্বর শুরু হয়েছিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২১ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।