রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ৯:০১ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ছয় সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। এরপর আর কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উত্থাপনের সুযোগ পাবে না।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগে ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হলো। একটিতে জাতীয় পার্টি জিতেছে। একটিতে বিএনপির একজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন, তারপর তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়ে আজ সংসদে এসেছেন। একটি আসন আমরা দিয়েছিলাম রাশেদ খান মেননকে, সেখানে জাতীয় পার্টি জিতে এসেছে। হাসানুল হক ইনুকে দিয়েছি বগুড়ায়, সেটা জিতেছে। বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই সিট নৌকা জয়লাভ করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ছাড়া, রংপুর সিটির মেয়র নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করেছে, আওয়ামী লীগ হেরে গেছে। কাজেই নির্বাচন যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুষ্ঠু হয়, অবাধ নিরপেক্ষ হয় সেটাই কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।
পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এই একটা সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। যারা আগে মনে করত বাংলাদেশ কোনোদিন উঠে দাঁড়াতে পারবে না, পঁচাত্তরের পর যারা এসেছিল তাদের সে প্রচেষ্টাই ছিল। আজ আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। আমরা যে পারি সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আমলে নির্বাচন দেখেছি। হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতি ভোট। ’৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দেখা আছে, কীভাবে কারচুপি হয়। ’৮৬ সালের নির্বাচনে আমরাই আন্দোলন করেছিলাম। ৪৮ ঘণ্টা নির্বাচনের ফলাফল বন্ধ রেখে জেনারেল এরশাদ সাহেব ফলাফল পরিবর্তন করেছিল, সেটাও আমরা দেখেছি’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারেনি। জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে। এসেই তারা কী করল সেই ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভোটারবিহীন করে দিল। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হলো ৩০ মার্চ’।