রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:৩৯ : অপরাহ্ণ
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৬০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ওই দুই দেশে কয়েকশ ভবন ধসে পড়েছে। খবর সিএনএনের।
সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭মিনিটে তুরস্কের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা ও তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
সংস্থাটি আরও জানায়, প্রথম ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকবার শক্তিশালী কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হয়। সবশেষ কম্পনটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবো। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। অনেক ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।
ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযানে নামে তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
তুরস্ক ও সিরিয়াতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ অনেক দেশ তুরস্কের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে শক্তিশালী আরও একটি ভূমিকম্পে সোমবার দ্বিতীয়বারের মত কেঁপে উঠে তুরস্ক-সিরিয়া। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটের দিকে আঘাত হানে। যেটির উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিস্তান জেলা।