শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

কী কারণে বাকশাল গঠন করতে হলো, প্রশ্ন ফখরুলের


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ৬:৪৭ : অপরাহ্ণ
আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত কী এমন ঘটলো যে, বাকশাল গঠন করতে হলো? ১৯৭৪-৭৫ সালের কথা ভুলে যান কেন? সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। একদলীয় সরকার ব্যবস্থা বাকশাল গঠন করা হলো।’

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘বাকশাল’ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: কাদের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন।’

ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেদিন আপনাদের একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মঈনুল সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন তার পদক প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।’

আওয়ামী লীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। অথচ তাকেই সন্ত্রাস করে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আমাদের এই অফিসের সামনেই নিহত হলেন আমাদের কর্মী মকবুল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ২৫ জানুয়ারি তারা গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। নতুন প্রজন্ম এ ইতিহাস জানে না। তা তারা মুছে ফেলেছে। কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন- আওয়ামী লীগের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। উল্টো বলে বিএনপি নাকি গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ আবারও তামাশার নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু না। জনগণ এবার নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আর জনগণের সঙ্গে থেকে এ দানবীয় সরকারকে বিদায় করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’

সমাবেশ থেকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।

তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমানো ও ১০ দফার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে সমাবেশে অংশ নিতে দুপুর ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন দলটির হাজারো নেতাকর্মী।

ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসেন।

তারা সড়কের ওপর ত্রিপল বিছিয়ে তার উপর বসেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন।

সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতি এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর