শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

নির্বাচনী পরিবেশ পুরোপুরি অনুকূলে নয়, ইইউ প্রতিনিধিদলকে সিইসি


ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ৬:৩৩ : অপরাহ্ণ

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকার কারণে নির্বাচনী পরিবেশ পুরোপুরি অনুকূলে নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠকটি চলে দেড় ঘণ্টাব্যাপী। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব ও রাশেদা সুলতানা এই বৈঠকে অংশ নেননি। এছাড়া ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইইউ প্রতিনিধি দলকে আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অচিরেই মতপার্থক্য দূর হবে এবং সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। কিন্তু নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলতে পারিনি। আমরা বলেছি-যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়, তাহলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘উনারা বলেছিলেন যে, ইভিএম নিয়ে অবিশ্বাস আছে কিনা। আমরা বলেছি, ইভিএম নিয়ে যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকটাই কেটে গিয়েছিল। তবে এটাও জানিয়েছি যে, ইভিএম নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না, কারণ আদৌ ইভিএম এভেলেবল হবে কিনা। আমরা কী পরিমাণ নির্বাচন ইভিএমে করতে পারবো, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হইনি।’

রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের জন্য ইস্যু নয়। কাজেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলো, যেগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনটা প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হবে।’

প্রতিনিধিদলের পক্ষে থেকে কোনো সুপারিশ আছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘‘উনাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল-‘আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কী ধরনের সহযোগিতা দিতে পারবো?’ আমরা বলেছি যে, গণমাধ্যম আমাদের নির্বাচন কাভার করে থাকে, পর্যবেক্ষকরাও করে থাকে। এবার আমরা ফুললি ওপেন হবো। আমাদের তরফ থেকে কোনো অন্তরায় থাকবে না। বিদেশি পর্যবেক্ষক সম্পর্কে আমাদের একটা পলিসি আছে। তারা আমাদের কাছে আবেদন করবেন। আমরা সেটা পাঠিয়ে দেবো স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কারণ, বিষয়টি দ্বিপাক্ষিকভাবে সুরাহা হতে হবে।’

ইইউ’র হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আমাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে শেষ বৈঠকের পর থেকে এটির আরো অগ্রগতি হয়েছে। সিইসি বিদেশী মিশনের সাথে কথা বলার জন্য আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ইইউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ইতিবাচক। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের কাজ এবং অগ্রগতিতে প্রযুক্তিগত এবং পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আরো আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ’র হেড অব ডেলিগেশন বলেন, ‘সবাই চায়, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই আমরা ইসির কাছে কোনো সুপারিশ করিনি।’

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: এবার সরে দাঁড়ালেন মৃধা, ফাঁকা মাঠে সাত্তার

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর