শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

‘বিএনপির আমলে বিদ্যুতের ইউনিট ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা, এখন ১১ টাকা’


আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ৬:০৮ : অপরাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি সরকারের আমলে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা, আর এখন ১১ টাকা। সরকার কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

সমাবেশ থেকে ২৫ জানুয়ারি দেশের মহানগর ও জেলায় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে, ক্যাপাসিটি চার্জ নামে জনগণের পকেট কাটছে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমেরিকা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের লোকদের পাচার করা টাকায় বাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। আজ রিজার্ভ সঙ্কট, ব্যাংকে তারল্য সঙ্কট। আজকে বাংলাদেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যা গত ১২ বছরে সরকারের কারণে হয়েছে। আজকে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি গরিব হয়ে গিয়েছে।’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্প করে মেগা দুর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে। সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাটের ভার জনগণের ওপর পড়েছে। এ দেশের মানুষের আওয়াজ-এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিএনপির ওপর প্রধান দায়িত্ব। বিএনপিকে দায়িত্ব নিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বাড়লো, ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একদিকে জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন, অন্যদিকে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন লাগামহীন। এ সরকারকে সরাতে হবে। মরতে হয় মরব, যে বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছি, সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনব। মামলা-গুম-খুনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত আসবে। আঘাত আসলে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না।’

আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসলে বিএনপি হেরে যাবে: কাদের

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি। আর সহ্য করার সুযোগ নাই। তারা বেগমপাড়ায় বাড়ি বানাবে আর দেশের মানুষ কষ্ট করবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না। তাই ফায়সালা করতে হবে রাজপথে। একবেলা ভোট হলেও বিএনপি জিতবে।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পকেট কেটে এই টাকা ভোট চোরদের পকেটে চলে যাচ্ছে। তারা ভোট চুরি করে, দেশের তহবিল চুরি করে। তারা জনগণের তহবিল চুরি করে যাচ্ছে। বিদেশে পাচার করছে। তাদের চুরির জন্য দেশের মানুষকে বিদ্যুতের উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ আর ২০২২ এক নয়। আর কোনো ভোট চুরির নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। জনগণের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন হবে।’

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর