ঢাকায় ৫০ মিনিটের যাত্রাবিরতি করে আবার আফ্রিকা সফরে গেলেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।
সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫৮ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে। রাত ২টা ৫০ মিনিটে আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি।
পদ্মাসেতুসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চীনের সহযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয় বৈঠকে।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি কিন গ্যাংকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা এক চায়নায় বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা চীনকে টাইম টু টাইম সাপোর্ট দেব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট সি পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় অর্থ সহায়তার বেশ কিছু চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু সবগুলো এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সেই বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জবাবে আমরাও তাকে আরও বেশি সময়ের জন্য বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাব দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর এটিই গ্যাং-এর প্রথম বিদেশ সফর। এবারের সফরে তিনি আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করবেন।
