রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১১:২৪ : পূর্বাহ্ণ
নতুন আবিষ্কৃত একটি বিশালাকার ধূমকেতু শিগগিরই পৃথিবী ও সূর্যের কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। ধূমকেতুটি এতো কাছ দিয়ে যাবে যে, পৃথিবী থেকে খালি চোখেই এটি দেখা যাবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রতি ৫০ হাজার বছরে একবার ওই ধূমকেতু সূর্যকে অতিক্রম করে।
গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিশালাকার ওই ধূমকেতুর নাম দেয়া হয়েছে ‘C/2022 E3 (ZTF)’।
১২ জানুয়ারি সূর্যের কক্ষপথের সবচেয়ে নিকটবর্তী দূরত্ব বা পেরিহেলিয়নে পৌঁছাবে এটি। তবে পৃথিবী থেকে খালি চোখে এটি দেখা যাবে ১ ফেব্রুয়ারি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির জুইকি ট্রানসিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি গত বছরের মার্চে বৃহস্পতি গ্রহ অতিক্রম করার সময় ধূমকেতুটির দেখা পায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ধূমকেতুটি মহাবিশ্বের উর্ট ক্লাউড নামে একটি এলাকা থেকে এসেছে। উর্ট ক্লাউড মূলত সৌরজগতের চারপাশের এক বিশাল গোলক। যেখানে রহস্যময় বরফের বস্তুর অবস্থান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এর আগে সর্বশেষ এ ধূমকেতু যখন পৃথিবীকে অতিক্রম করেছিল, তখন পৃথিবীতে নিয়ানডারথলদের বিচরণ ছিল।
ধূমকেতুটির গঠন প্রসঙ্গে ফ্রান্সের প্যারিস অবজারভেটরির জ্যোতির্পদার্থবিদ নিকোলাস বিভার বলেন, ধূমকেতুটি বরফ ও ধূলিকণায় গঠিত। এটি পেছনে সবুজ আভা ছেড়ে যায়। ধূমকেতুটির ব্যাস প্রায় এক কিলোমিটার।
এর আগে ২০২০ সালে খালি চোখে দেখা যাওয়া নিউওয়াইজ নামের ধূমকেতুটির চেয়ে এটি অনেক ছোট।
এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে হেলি-বপ নামের যে ধূমকেতুটি পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান হয়েছিল, সেটির ব্যাস ছিল ৬০ কিলোমিটার।
জ্যোতির্পদার্থবিদ বিভার বলেন, এবারের ধূমকেতুটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি পৃথিবীর অনেক কাছ দিয়ে যাবে। এটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিতে পারে। পূর্ণিমা থাকলে ধূমকেতুটি দেখা কঠিন হতে পারে।
তবে চলতি মাসের শেষ দিকে পূর্ণিমা না হওয়ায় পর্যবেক্ষকদের জন্য ধূমকেতু দেখার ভালো সুযোগ থাকছে বলে জানান তিনি।