রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:৩১ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ‘এবার আর ভোট চুরি করতে দেওয়া যাবে না। ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরা হবে। ভোট চোরদের ধরে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের মানুষের জন্য নির্বাচিত সরকার করতে হবে।’
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ‘১০ দফা দাবী ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রুপরেখার বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক’ এ সভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির ২৭ দফা আন্দোলনের একটি অংশ। দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নাই। দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক উপরে স্থান পেয়েছে। আজকে বিএনপির ২৭ দফার রুপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির রূপরেখায় আ.লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে, বললেন আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুনগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র রুপান্তর মুলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এজন্যই তারেক রহমান গণতন্ত্রকামী সকল দল ও শক্তিসমুহকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় সরকার গঠন এবং জনগনের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বিএনপির সরকারে কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না।জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধন্য দেওয়া হবে। শিক্ষিত জাতী ছাড়া দেশ কোনোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। প্রত্যেকটা নাগরিক যাতে হেলথ সুবিধা পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমান যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে দেশের আমূল পরিবর্তন হবে। আবার যারা হতদরিদ্র তাদেরকে ওষুধের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যারা চাকরি পাবে না, যারা বেকার তাদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুনগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র রুপান্তর মুলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এজন্যই তারেক রহমান গণতন্ত্রকামী সকল দল ও শক্তিসমুহকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় সরকার গঠন এবং জনগনের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা, ভোটাধিকার, আইনের শাসন এবং জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পেতে চায়। জনগণ স্পস্ট বার্তা দিয়েছে অবৈধ ফ্যাসিস্ট, দখলদার, অনির্বাচিত ও নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এবার আর ভোট চুরি করতে দেবো না।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, বিশিষ্ট চিসিৎসক অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।