রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, সিলেট প্রকাশের সময় :৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ৭:১৩ : অপরাহ্ণ
গণমাধ্যমের কারণে বিদেশিরা নিজেদের এ দেশের রাজা মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের জ্ঞান খুবই সীমিত। বিদেশিরা আমাদের যখন মাঝেমধ্যে পরামর্শ দেয়, তখন এগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়।’
আজ বুধবার সিলেটের ইপিআই ভবনে সিভিল সার্জনের কার্যালয় আয়োজিত একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা মিডিয়াগুলো বিদেশিদের কথায় হইচই কইরেন না; বরং আপনাদের কারণেই বিদেশিরা পাত্তা পাচ্ছে। তাদের নিউজ কাভার করা বন্ধ করেন। কাভারেজ (সংবাদ প্রচার) যদি আপনারা বন্ধ করেন, পরের দিন ওরা ঘরে বসে খালি হুক্কা খাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (মিডিয়া) কারণে তারা মজা পায়। তারা মনে করে তারা এই দেশের রাজা। তারা তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, আমাদের অসুবিধা নেই। এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমের মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। আমাদের দেশে আমরা কোনো কিছু গোপন করি না। লুকিয়ে কোনো কাজ করি না।’
বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অন্য কোথাও নেই বলে দাবি করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এখানে সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা এবং ৪৫টি টেলিভিশন আছে। ১৮টি সাময়িকী বের হয়। আর কোথায় এমন আছে?’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দেশ, যেখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, মানবাধিকারের জন্য এতো লোক পৃথিবীর আর কোথাও রক্ত দেয়নি। এখানে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গণতন্ত্র রয়েছে। তারা (বিদেশিরা) এসেছে আমাদের মানবাধিকার আর গণতন্ত্র বোঝাতে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের পছন্দ না হলেও বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিরা কথা বলবে: আমীর খসরু
বাংলাদেশের নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয় উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেক দেশে ২৫-৩০ শতাংশ লোকও ভোট দেয় না। সেসব দেশে নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায় না। অথচ এদেশে একেকটি পদে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর তারা বকবক করে। নিজের দিকে তাকায় না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে অশান্তি থাকে, সেটা ধ্বংস হয়ে যায়। লিবিয়া, সিরিয়া দেশগুলোতে একটার পর একটা লেগেই আছে। আমাদের কিছু লোকজন চায় না শান্তি হোক। অশান্তি হলে তারা ব্যক্তিগত ফায়দা লুটতে পারে। সে জন্য চায় অশান্তি হোক। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক বিরোধী দলীয় নেতা-নেত্রী আছে, যারা চায় না দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠুক। তারা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য খুবই দুশ্চিন্তায় থাকে। এ জন্য বিভিন্ন লোককে বিভিন্নভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে লাগিয়ে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। অশান্তি সৃষ্টি হলে তাদেরও ১২টা বাজবে। এর আগে যারা অশান্তি করেছে, তারা ঝামেলায় আছে।’