শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

চট্টগ্রামে বিএনপির গণমিছিলে লাখো মানুষের স্রোত


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:১১ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে শুরু হওয়া বিএনপির গণমিছিলে মানুষের স্রোত কাজীর দেউড়ি মোড় পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

চট্টগ্রামে বিএনপির গণমিছিলে নেমেছিল লাখো মানুষের স্রোত। চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে শুরু হওয়া এই গণমিছিলে মানুষের স্রোত আলমাস সিনেমা হয়ে কাজীর দেউড়ি মোড় পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়, হাজারো সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেন।

আজ শনিবার বিকেলে নগরীর ওয়াসা মোড় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই গণমিছিল বের হয়।

বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রামে বিএনপির গণমিছিলে লাখো মানুষের স্রোত

এর আগে দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ওয়াসা মোড়ে আসেন। ওয়াসা মোড় থেকে কাজীর দেউড়ি মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে আশেপাশের এলাকা।

চট্টগ্রামে বিএনপির গণমিছিলে লাখো মানুষের স্রোত

গনমিছিলটি ওয়াসা মোড় থেকে শুরু হয়ে আলমাস সিনেমা হয়ে কাজীর দেউরী, নুর আহমেদ সড়ক, লাভলেন, জুবলী রোড় হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে ওয়াসা মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যেভাবে বিভাগীয় গণসমাবেশ চট্টগ্রাম থেকে সফলভাবে শুরু করেছিলেন, তেমনিভাবে এই গণমিছিল জনসমুদ্রে রূপান্তর করেছেন।

এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশের মানুষের রায় হচ্ছে এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই ১০ দফা আমাদের যে দাবি তা পূরণ করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকার আপোষে তা মেনে নিবে না। তাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন ফয়সালা হবে রাজপথে।

খন্দকার মোশারফ বলেন বলেন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনে বাধ্য করতে হবে। এই বাধ্য করার আন্দোলনের সূচনা হচ্ছে গণমিছিল। এই সরকারের হাত থেকে দেশেকে রক্ষা করতে না পারলে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে। তাই দেশ ও জনগনকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, এই সরকার জনগনের সরকার নয়, জনগনের ভোট দিয়ে নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকারের দেশের জনগনের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই । সেজন্য আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ধ্বংস করে দিয়েছে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, কিছু দিনের মধ্যে একটা হুইসেল দিবে। সেই হুইসেল মানে সরকার পতনের হুইসেল। হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করেন, দেখবেন সকালে উঠে তারা সবাই পালিয়ে গেছে। তখন লাখ লাখ জনতার রাজপথ দখল করতে হবে ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, সারাদেশে ১০টি গণসমাবেশ নানা বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগন সফল করেছিলো। আজকের এই গণমিছিলের একটি স্লোগান ওঠেছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার মাধ্যমে অবিরাম সংগ্রাম শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া প্রমুখ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর