রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১:১৯ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোট নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমরা কেন ভোট চুরি করবো? খালেদা জিয়া এক কোটি ২৩ লাখ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছিলেন। জনগণ সেটা মেনে নেয়নি। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে বিশ্বাসী।’
আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ কখনও নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসে খালেদা জিয়া। জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সংগ্রাম, আন্দোলন হয়েছিল। সেই সংগ্রামের মধ্যে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না, বিএনপিকেও ছাড়েনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের স্লোগান-আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। যাকে আমার পছন্দ তাকে ভোট দেবো। নাগরিকের যে সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার তা আওয়ামী লীগই সচল করেছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ, আলোচনায় সাধারণ সম্পাদক পদ
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কী ছিল? নির্বাচন মানেই ছিল ১০টা হুন্ডা ২০টা গুণ্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। এই নির্বাচনী সংস্কার আওয়ামী লীগ, ১৪ দল, মহাজোট মিলে আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর যে কাজই করুক, আমাদের জেল খাটাক আর যাই করুক-তারা অন্তত সেই প্রস্তাবের কিছু কাজ বাস্তবায়ন করে গেছে।’
২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সন্তান দুর্নীতি করে টাকা আয় করতে ক্ষমতায় আসেনি। আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের স্বার্থ কারও হাতে তুলে দেবো না, নষ্ট হতে দেবো না। আওয়ামী লীগ যাতে সরকারে না আসতে পারে, অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ কারো হাতে তুলে দেবো না, এটাই ছিল আমার প্রতিজ্ঞা।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।