রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা বিএনপি

বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে ভাঙচুরের বর্ণনা দিলেন প্রিন্স


চার দিন পর বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় খুলে দিয়েছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ৩:৪৫ : অপরাহ্ণ

চার দিন পর রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দিয়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ রোববার সকালে বিএনপির নেতাদের কাছে কার্যালয়ের চাবি হস্তান্তর করে পুলিশ।

ডিএমপির অনুমতি পেয়ে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল ১১টার পর নয়াপল্টনের দুই পাশের রাস্তার ব্যারিকেড তুলে নেয় পুলিশ। শুরু হয় যান চলাচল।

জানা যায়, কার্যালয় খোলার পর আইনজীবীদের সঙ্গে কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সাংগঠনিক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী সদস্য সাত্তার পাটোয়ারীসহ নেতাকর্মীরা।

দুপুর ২টার দিকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে যা ঘটিয়েছে তা একাত্তরের পাক হানাদারদের কর্মকাণ্ডকেও হার মানায়। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখানে তা এখন বলা যাচ্ছে না।

তিনি দাবি করেন, পুলিশ বাহিনী কার্যালয়ে প্রবেশ করেই শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের কাচ ভাংচুরের মাধ্যমে তাণ্ডব শুরু করে। এর পর তারা প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর চালায়। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য নেতার কক্ষের দরজা-জানালার গ্লাস, আসবাব ভাঙচুর করে। তারা ভবনের প্রতি তলায় অবস্থিত রুমে ভাঙচুর করে। তারা কম্পিউটার ভাঙচুর করে সেগুলোর হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।

এ ছাড়া আলমারি ভেঙে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এমনকি বিএনপি সদস্যদের দেওয়া চাঁদার সংরক্ষিত নগদ টাকাও তারা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দিন রাত থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও নাইটিঙ্গেল থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় পুলিশ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর