রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ৮:৩৯ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের দুজনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে মির্জা ফখরুলকে ডিবি পুলিশের তুলে নেওয়ার খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তার উত্তরার বাসায় যান। সেখানে শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে কথা হয় বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে।
মির্জা ফখরুলকে কখন তুলে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চারজন উপরে আসছিলেন। তাদের বসানো হয়েছিল। তারা বলেছেন, তাকে নিয়ে (মির্জা ফখরুল) যাবেন। পরে শুনেছি নিচে দরজা না খোলায় সিকিউরিটি গার্ডকে চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। তবে তারা (আজ রাতে) বাসায় এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে নাই। তবে নিচে যখন দাঁড়িয়েছিলেন তখন তারা তাদের (সিকিউরিটি গার্ড) সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।’
কেন তাকে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলেছেন কিনা-জানতে চাইলে ফখরুল পত্নী বলেন, ‘কাল পরশুর মধ্যে তার (মির্জা ফখরুল) বিরুদ্ধে নাকি দুই তিনটা মামলা হয়েছে। আপনারা কেন এসেছেন-জানতে চাইলে তারা মির্জা ফখরুলকে বলেন, তারা উপরের নির্দেশে তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে কার নির্দেশে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা তারা বলেন নাই।’
রাহাত আরা বেগম বলেন, ‘তার শরীরের অবস্থা তেমন ভালো না। বৃহস্পতিবার তার মিটিং ছিল। রাতে বাসায় এসে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যান। যে কাপড় পরে ছিলেন সেভাবে গেছেন। যাওয়ার সময় টুকটাক ওষুধ নিয়ে চলে গেছেন। তারা আসছেন তিনটার মধ্যে, সাড়ে ৩টার মধ্যে বের হয়ে গেছেন।’
তুলে নিয়ে যাওয়ার আগের ঘটনা বর্ণনা করে ফখরুল পত্নী বলেন, ‘ওরা নাকি চার পাঁচটা গাড়ি নিয়ে রাত ১০টা থেকে টহল দিচ্ছিল। শুনেছি, আগে থেকেই হয় তো তাদের অ্যারেস্ট করার পরিকল্পনা মাথায় ছিলো। এরপর তিনটার দিকে তারা নিচে দরজা খুলতে বলেন। ওরা (সিকিউরিটি গার্ড) দরজা খুলতে চাচ্ছিলো না। তাদেরকে চড় থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে। ওই সময় রাস্তার লাইট বন্ধ করা ছিল। আপনারা (সাংবাদিক) আসার সময় দেখেছেন। রাস্তায় একটা বড় লাইট জ্বলে, সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
তবে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে জানান রাহাত আরা বেগম।
আরও পড়ুন:
‘অপেক্ষা করুন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যা দেখবেন, স্বচক্ষে দেখবেন’
পুলিশ বাজারের ব্যাগে করে কার্যালয়ে বোমা নিয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল