রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ৮:৩৪ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় চট্টগ্রাম-১১ আসনের (বন্দর-পতেঙ্গা) সংসদ সদস্য এম এ লতিফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশনেত্রী’ বিশেষণে সম্বোধন করেছেন।
এ নিয়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকে লতিফের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সাধারনত ‘দেশনেত্রী’ বিশেষণে সম্বোধন করে থাকেন। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ‘দেশরত্ন’ বিশেষণে সম্বোধন করে থাকেন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
আজ রোববার পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভার মঞ্চে দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে বক্তব্য দিতে উঠেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। তিনি ৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড বক্তব্য রাখেন।
এম এ লতিফ তার বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা লিপিস্টিক লাগিয়ে বসে থাকেন না। তিনি রাতে ৪-৫ ঘণ্টার বেশি ঘুমান না। আজকে বাংলাদেশকে তিনি এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছে, সারা পৃথিবীর মানুষ বলতে বাধ্য হচ্ছে, ম্যাজিক অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। আজকে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে উন্নীত করার যে নেত্রী, একমাত্র দেশনেত্রী…’
‘দেশনেত্রী’ শব্দটা বলার পর এম এ লতিফ কিছুক্ষণ চুপ হয়ে যান। এরপর তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা, যিনি আমাদের দেশরত্ন, আমাদের বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আদরের, স্নেহের কলিজার ধন শেখ হাসিনার পেছনে সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ।’
সংসদ সদস্য এম এ লতিফের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এম এ লতিফ নানা সময়ে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন।
২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের সময় লতিফের উদ্যোগে লাগানো পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ ওঠে।
তখন রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। লালদীঘি ময়দানে লতিফের বিরুদ্ধে সমাবেশও করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের পদ পেতে জনসভায় শোডাউন করেন মনজুর আলমের ছেলে সাইফুল