রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ নভেম্বর, ২০২২ ৭:০২ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের ইচ্ছা নির্বাচন করবে। আর নির্বাচন করার মতো শক্তি যদি কারও না থাকে, তারা হয়তো নির্বাচন করবে না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করবে, তারা ভোট দেবে। আর ভোট চুরি করলে তারা মেনে নেয় না।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে অনেকেই বলেন, ডায়ালগ করতে হবে। কাদের সঙ্গে? ওই বিএনপি খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। যে খালেদা জিয়া বলেছিল, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা, বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ একশ বছরেও ক্ষমতায় যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা এই ধরনের গর্ব করা পছন্দ করে না। আর বাংলাদেশের মানুষ তো একেবারেই পছন্দ করে না। সেই জন্য খালেদা জিয়ার মুখের কথা তার বেলায়ই লেগে গেছে। এখন ওই দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র পাচারকারী আর গ্রেনেড হামলাকারী, আইভি রহমানের হত্যাকারী। জিয়াউর রহমান ছিল আমার বাবার হত্যাকারী। আর এদের সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে? আবার মানবাধিকারের কথাও বলে, এটা কোন ধরনের কথা?’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের চুরির কথা বলতে গেলে দিনরাত পার হয়ে যাবে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল-১৫ ফেব্রুয়ারি, ছিয়ানব্বই সালে, বাংলাদেশের মানুষ তাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছিল। তিন তিনবার ক্ষমতায় আসতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিল। কিন্তু দেড় মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ৩০ মার্চ জনগণের আন্দোলনে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল ভোট চুরির অপরাধে। তাই ভোট চোরেরা ভোট চুরি করতেই জানে।’
বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন, মিছিল করেন, মিটিং করেন কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু যদি কোনো মানুষকে পুড়িয়ে মারার বা বোমা মারার বা গ্রেনেড মারার বা এ ধরনের অত্যাচার করতে যায়, তাদের একটাকেও ছাড়ব না। এটা হলো বাস্তব কথা।’
বিএনপি আমলের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ওপর যে আঘাত দেওয়া হয়েছে আমরা তা ভুলিনি। আমরা সহ্য করছি দেখে যেন এটা মনে না করে যে, সহ্য করাটা আমাদের দুর্বলতা। দুর্বলতা না। বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, আমাদের সঙ্গে আছে। খুনিদের সঙ্গে নেই।’