শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলেই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১২:১১ : অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর একটানা ২০২২ পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। না হলে এতো উন্নতি হতো না।’

আজ শনিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগের সময় গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই প্রক্রিয়াটা শুরু করি। বিএনপি যখন জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করে, তার পর থেকে দেশে হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং-এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করেনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আওয়ামী লীগেরই আন্দোলনের ফসল। ২০০১ এর নির্বাচন অথবা মাগুরা, ঢাকা-১০ এর উপনির্বাচনের কথা যদি কেউ স্মরণ করে, তাহলে বিএনপির আমলে নির্বাচনের নামে কী হতো, সেটা ওইটুকুই যথেষ্ট, যদি দেখেন। কথাই ছিল ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা। ভোটের বাক্সে সিল মারা থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম হতো। তার জন্য আমরা স্বচ্ছ ভোটার বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা; কারণ ২০০৬ সালে নির্বাচন করতে বিএনপি ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা করেছিল। অবশ্য তাদের মুখে এখন খুব গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে।’

দেশে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা দিয়ে আগামী পাঁচমাস চলবে বলে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তিন মাসের রিজার্ভ জমা রাখলেই চলে। এর বেশি রিজার্ভ লাগে না। যারা বিনামূলে করোনার টিকা নিয়েছেন তারা যদি বলে রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়। রিজার্ভের টাকা আমরা দেশের মানুষের জন্য খরচ করেছি। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যখনই করোনা পরিস্থিতি ভালো হলো এরপরই শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে সব কিছুর দাম বেড়ে গেল। যেখানে ৮০০ ডলার দিয়ে জাহাজ ভাড়া করে পণ্য আমদানি করা যেত সেখানে যুদ্ধের কারণে সেই ভাড়া এখন ৩৬০০ ডলার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। রিজার্ভের টাকায় গম, ভূট্টা, সার ও ভোজ্যতেলসহ মানুষের খাদ্য এবং দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য খরচ হয়েছে। করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনো রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা প্রবাসে যারা…যেহেতু কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে, যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। ‘৯১ থেকে ‘৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। যেটা ৩ মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন আমি সরকারে আসি। তখন আমরা কিছু উদ্যোগ নেই। তখন থেকে রিজার্ভ আমরা বাড়াতে শুরু করি। সেই থেকে রিজার্ভ আমরা বাড়িয়েছি। ২০০৮ এ যখন আসি, তখনো ৫ বিলিয়নের বেশি ছিল না। সেই ৫ থেকে ৪৮ বিলিয়নে তুলতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম। তা ছাড়া আমাদের যে লোন, বাংলাদেশ কোনো দিন ডিফল্টার হয়নি। আমরা সময়মতো লোন পরিশোধ করি।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর