মালদ্বীপের রাজধানী মালের একটি গ্যারেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই বাংলাদেশিসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা সবাই নারী। এদের মধ্যে ৯ জন ভারতীয়।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২টার দিকে মালের মাফান্নু এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, মালে শহরের মাফান্নু এলাকার ইস্কান্দার মাগুতে অবস্থিত সেনরোজ নামের একটি বাসার নিচে গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত।
গ্যারেজের ওপর তলায় অভিবাসী শ্রমিকের কোয়ার্টার। সেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার নারী শ্রমিকরা থাকতেন। ওই কক্ষে একটি মাত্র জানালা ছিল।
প্রতিবেশীরা বলছেন, বাড়িতে প্রায় ২০ জনের মতো বিদেশি ছিলেন। তারা বেশ কয়েকবার ভবন থেকে অনেককে বেরিয়ে আসতে দেখেছেন।
মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ) ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৯ জন। প্রায় চার ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো গেছে।
কর্তৃপক্ষ আগুনের কারণ নিশ্চিত করেনি এবং এখনও এলাকায় অনুসন্ধান চালাচ্ছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। বলা হচ্ছে হতাহতের হিসাবে এটি মালদ্বীপে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের একটি।
এদিকে মালদ্বীপের বাংলাদেশের হাইকমিশনে প্রথম সচিব মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ ও কল্যাণ সহকারী মামুন পাঠান ঘটনাস্থল ও মালদ্বীপের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
মালদ্বীপের রাজনৈতিক দলগুলো বিদেশি কর্মীদের দুর্দশার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছে।
মালেতে প্রায় সোয়া লাখ প্রবাসী শ্রমিক থাকে। প্রবাসীরাই শহরটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় প্রবাসীদের দরিদ্র জীবনযাপনের অবস্থা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেসময় স্থানীয়দের তুলনায় বিদেশী কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ তিনগুণ দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছিল।