প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ প্রকাশের সময় :৮ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৫১ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ফারদিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শেখ ফরহাদ হোসেন।
ময়নাতদন্তকারী এই চিকিৎসক বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। তার বুকের ভেতরেও আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি অবশ্যই হত্যাকাণ্ড, পানিতে ডুবে মৃত্যু না।’
ডা. শেখ ফরহাদ জানান, আমরা নিহতের শরীর থেকে সংগ্রহকৃত নমুনা ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে আমরা বলতে পারবো কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জের সুপার মিনা মাহমুদা জানান, সুরতাহালের সময় ফারদিনের পকেট থেকে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ব্লুটুথ উদ্ধার করা হয়।
ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে ফারদিনের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল রামপুরা থানা এলাকায়। কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে শনিবার একটি জিডিও করা হয়।
ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদকও ছিলেন তিনি।
ফারদিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন।