রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ নভেম্বর, ২০২২ ৫:৪৯ : অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পিটিআইয়ের নেতা ফয়সাল জাভেদসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে ইমরান খানের পদযাত্রার প্রস্তুতি সমাবেশে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ফাওয়াদ চৌধরি জানিয়েছেন, একে-৪৭ থেকে গুলি করা হয়েছে ইমরানকে। চারটি গুলি ছোড়া হয়। পায়ে গুলি লেগেছে তার। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যায়, পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় আহত ইমরান খানকে তার নিরাপত্তা দলের সহায়তায় একটি গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, একে-৪৭ উঁচিয়ে হামলা চালিয়েছে এক দুষ্কৃতকারী। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, অল্পের জন্য প্রাণে গেছেন ইমরান খান।
গত কদিন ধরেই পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার দাবিতে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ লং মার্চের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সেই লংমার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই লংমার্চের প্রস্তুতি হিসেবেই ওয়াজিরাবাদে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এক প্রস্তুতি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এ গুলির ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত, ইমরানের ওই লংমার্চকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু গত মাসে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়।
পিটিআই নেতৃত্বের একাংশের মতে, ইমরানের উপর হামলার নেপথ্যে কোনও ‘রাজনৈতিক কারণ’ থাকতে পারে।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরণের হামলার ঘটনা এ-ই প্রথম নয়। এর আগে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিকাকত আলি খান জনসভায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন।
২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ১৫ বছর বয়সী এক আত্নঘাতী বোমারুর হামলায় নিহত হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী জনসভা শেষ করে বেনজির যখন তার গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় এক কিশোর তাকে গুলি করে এবং পরে আত্নঘাতী হামলা চালায়।