রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১:১৫ : অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে হুঁশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না, কাদা থেকে কেঁচো বেরিয়ে আসবে। ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে পরে সামাল দিতে পারবেন না, কাউকে ছেড়ে কথা বলবো না। আমরা শুরু করলে কেউ বাদ যাবেন না।’
আজ রোববার রাজধানীর নয়া পল্টনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনের নামে টাকা আসছে, আর তারা টাকার ওপর শুয়ে আছেন। দুবাই থেকে টাকা আসছে। কারা টাকা পাঠায় আমরা খোঁজ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন মির্জা ফখরুল
ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের অশালীন ও আপত্তিকর কথা বলছেন। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। আমি নাকি দুবাই থেকে টাকা পাই। আমি নাকি টাকার উপরে শুয়ে আছি।’
এ সময় বিএনপি মহাসচিব ওবায়দুল কাদেরকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না। কাদা থেকে কেঁচো বেরিয়ে আসবে। আপনাদের কে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছেন, ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন এসব বাংলাদেশের মানুষ খবর রাখে। একেকজন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে লোকজনের উপস্থিতি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা সব সরকারি গাড়ি-টাকা ব্যবহার করে যে লোকজন নিয়ে এলেন, বিশাল নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে, সরকারি জায়গার মধ্যে সেখানেও চেয়ার পর্যন্ত পূর্ণ করতে পারলেন না। ২২ হাজার চেয়ার ছিল। ২২ হাজার চেয়ার যদি পূর্ণ না হয় তাহলে কত লোক হয়েছিল?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি কথাটা আলোচনা করতে চাইনি। যেহেতু উনি আমার নাম বলেছেন, সেই কারণে কথাগুলো বললাম। দিস ইজ ভেরি আনফরচুনেট! আমরা এটা আশা করি না, এতো বড় রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের মুখ থেকে অশালীন ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ আসবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একেবারে ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। ১৯৭৪ সালে আমরা যে দুর্ভিক্ষ দেখেছিলাম, আবার সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। কথাটা আমার নয়, কথাটা প্রধানমন্ত্রীর। এটাকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়ি বলার অবস্থা তৈরি করেছে এই সরকার। রিজার্ভের পরিমাণ কমতে কমতে এমন জায়গায় এসেছে যে, দুর্নীতির কারণে…প্রতিটি খাতে এমন দুর্নীতি হচ্ছে যার ফলে আবার আজকে তলাবিহীন ঝুড়ির দিকে চলে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এতোই যদি আপনারা শক্তিশালী হোন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকে তাহলে এত ভয় পান কেন ? বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে দেন না কেন ? কেন আপনারা পরিবহন বন্ধ করে দেন? আপনাদের গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষ যারা সভায় আসতে চায়, তাদের কেন আঘাত করেন? একটাই কারণ, তারা জানে, গণতন্ত্র যদি ঠিক মতো চলে, জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কাজ করতে পারে তাহলে তারা কোনো দিনই ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না।’