রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ অক্টোবর, ২০২২ ২:১৬ : অপরাহ্ণ
নদীতে ইলিশ শিকারের সরকারি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার রাত ১২টায়। তাই নদীতে ইলিশ শিকারে কোনো বাধা নেই জেলেদের। এজন্য আজ মধ্যরাতে ইলিশ শিকারে নদীতে নামবে জেলেরা।
জানা যায়, এরই মধ্যে সাগরে নামতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন জেলেরা।
এর আগে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় কর্মচঞ্চলতা ফিরেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা, বাগেরহাটের শরণখোলা ও বিষখালী পাড়ের জেলে পল্লিতে।
তবে নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি অনুদান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক জেলে। বরিশাল, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর জেলার কয়েক জেলে সরকারি অনুদান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধারদেনা করে চালিয়েছেন অনেক জেলে। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়লে সেই ধারদেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।
মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাবেন জেলেরা। কারণ, অন্য বছরের চেয়ে এবার গভীর সমুদ্র থেকে ডিম ছাড়তে মা ইলিশ নদীর মিঠাপানিতে ছুটে আসার সুযোগ পেয়েছে। এতে প্রজননের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়ায় নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়ার পরিবেশ ছিল উল্লেখ করার মতো।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল মৎস্যবিজ্ঞানী মা ইলিশ বিচরণের ছয়টি অভয়াশ্রমে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র পেয়েছেন।
দেশের শীর্ষ মৎস্য বিজ্ঞানি, ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, পরিভ্রমণশীল স্বভাবের মাছ হচ্ছে ইলিশ। তাই এবছর আবহাওয়া অনুকূলে পেয়ে এই ইলিশের ঝাঁক সব বাধা পেরিয়ে সাগর ছেয়ে নদীতে ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। এ সময় মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তা বেশ সফল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, চলতি বছর ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে ডিম ছাড়ার পর আগামী জাটকা সংরক্ষণ মৌসুমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা গেলে এই উৎপাদনের হার ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।
২০০৩-০৪ সাল থেকে বাংলাদেশে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।