বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করবে সিত্রাং: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী


সচিবালয়ে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ অক্টোবর, ২০২২ ৩:১৭ : অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘সন্ধ্যার পর সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে এ ঘূর্ণিঝড়।’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে। এটি ১৩টি জেলায় আঘাত হানবে। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা এবং পটুয়াখালীতে। অন্য জেলাগুলো হলো-সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনী। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব অঞ্চলে লোক সরানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘উপকূলে সাত হাজার ৩০টি শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে অন্তত ২৫ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে।’

এদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিত্রাং বরিশালের দিকে এগোচ্ছে। পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ দুপুর ১২টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রাবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৫ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনীর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর