রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ অক্টোবর, ২০২২ ৯:৫৯ : পূর্বাহ্ণ
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও চাকরির পরীক্ষার্থীরা।
গত মঙ্গলবার রাতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খুলনা থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২শ’ বাস দেশের ১৮টি রুটে চলাচল করে।
আগামীকাল শনিবার খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। ওই দিন দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: জনগণ হরতাল-কারফিউ কিছুই মানবে না: ফখরুল
১৬তম গ্রেডভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির সমাজকর্মী পদে জনবল নিয়োগের জন্য আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লিখিত/এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই পরীক্ষায় খুলনা থেকে আবেদন করেছেন ১৩ হাজার ৩৭৬ প্রার্থী। খুলনা শহরের ১৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হবে।
আজ শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ৯টা পর্যন্ত সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে নানা ভোগান্তির খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাট থেকে আসা মো. নুরুজ্জামান বলেন, এভাবে বন্ধ করা ঠিক হয়নি। অনেক ভোগান্তি করে তবে খুলনা শহরে পৌঁছেছি। যাব যশোর। বাস বন্ধ থাকায় এখন বাড়ি আবার ফিরে যেতে হবে।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা শুকুর আলী বলেন, অনেক কষ্ট নিয়ে তবে খুলনায় পৌঁছেছে। পারিবারিক কাজে যশোর যাব। বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি এভাবে বাস বন্ধ কোন মানেই হয় না।
পাইকগাছা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাস বন্ধ মোটরসাইকেল ভাড়া করে নিয়ে আসতে হয়েছে। যেখানে বাসে ১০০ টাকা খরচ হতো সেখানে ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে তা ছাড়া তো নানা ভোগান্তি আছে।
মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ১৮টি রুটে প্রায় ১ হাজার ২০০ বাস চলাচল করে। আর এসব পরিবহনে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রমিক ইউনিয়ন এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা এবং বিভাগের ৯টি জেলা থেকে সমাবেশে নেতা কর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি তারা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বিভাগের ১০ জেলার নেতা কর্মীদের যে কোনোভাবে সমাবেশে আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। নেত-কর্মীরা আগে এসে খুলনা নগরীর আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়দের বাসায় অবস্থান নিচ্ছেন।
খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন বলেন, একযোগে বাংলাদেশে ৬৪টি জেলায় এই পরীক্ষা হচ্ছে। এটা পূর্বঘোষিত। খুলনায় এখন বাস বন্ধ হলে কিছু করার নেই। যারা পরীক্ষার্থী তাদের বলতে চাই, অন্তত এক দিন আগে যেন তারা শহরে চলে আসেন।