রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ অক্টোবর, ২০২২ ৫:১৯ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার জনভীতি রোগে ভোগে। মানুষ দেখলেই ভয় পায়। তারা ভয় পাচ্ছে এভাবে যদি জনগণ জেগে উঠে তাহলে উত্তাল সৃষ্টি হবে, আর হবেই। তখন তাদের অত্যন্ত ধিকৃত অবস্থায় চলে যেতে হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কী কারণে জনগণকে বাধা দিয়ে খুলনার সমাবেশকে বন্ধ করতে চাচ্ছে সরকার ? তার একটাই কারণ, সমাবশে মানুষ যদি বাড়তে থাকে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব হবে না। জনগণের উত্তাল তরঙ্গে তাদের ভেসে যেতে হবে।’
খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার একটি সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করছে-এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আন্দোলন করছি। এরই অংশ হিসেবে শনিবার খুলনায় আমাদের সমাবেশ। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার একটি সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করছে খুলনায়। পথে পথে আমাদের নেতা-কর্মীদের, সাধারণ মানুষদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খুলনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য চন্দ্র রায় যে বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন বৃহস্পতিবার রাতে সেই বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ, বাস বন্ধে ভোগান্তি
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সড়কে যাকে-যেখানে পাওয়া যাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। বৃহস্পতিবার তারা (আওয়ামী লীগ) লাঠিসোঁটা রামদা নিয়ে শোডাউন করেছে। মোটরসাইকেল নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে।’
খুলনায় সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খুলনায় যদি কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় এর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। এতে প্রমাণিত হবে, এ সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। আমাদের সমাবেশ তারা করতে দিতে চায় না।’
খুলনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সব গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করা হচ্ছে। এখানে প্রমাণিত হয়েছে সরকার চায় না একটি গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষ তাদের কথা, বক্তব্য, প্রতিবাদ প্রকাশ করুক। একটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য সচেষ্টভাবে তারা চেষ্টা চালাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।