নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১০:১১ : পূর্বাহ্ণ
দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সকাল ৯টা ভোট শুরুর পর এখনো পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের সন্দ্বীপ আসনে ইভিএমে কারিগরি ত্রুটির কারণে ভোট বন্ধ রয়েছে।
সকাল ৯টায় শুরু হয় এ ভোটগ্রহণ। তবে প্রথম ভোটটি দেওয়ার পরই ইভিএমে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়।
সকাল ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ আছে।
এদিকে ভোটে কারচুপি কিংবা হট্টগোল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আলোচিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পাঁচ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য ৯৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনী।
তফসিল অনুযায়ী, ৬১ জেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও হবে ৫৭টিতে। তিনটি পদেই একক প্রার্থী থাকায় ভোট হচ্ছে না ফেনী ও ভোলা জেলায়। আর আদালতের নির্দেশে বন্ধ আছে নোয়াখালী ও চাপাইনবাবগঞ্জের ভোট।
৫৭ জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। এতে ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি।
স্থানীয় সরকার আইন অনুসারে, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ নির্বাচনের ভোটার। মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ২৩৬ জন এবং নারী ১৪ হাজার ৯২৩ জন।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, আজকের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ৯২ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে আগেই ২৬ জন চেয়ারম্যান, ৬৯ জন সাধারণ সদস্য এবং ১৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৮৯ সালে দেশে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি।
এরপর ১৯৮৮ সালে হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদ সরকারের সময় প্রণীত আইনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সরকার কর্তৃক নিয়োগ দেওয়ার বিধান ছিল। পরবর্তীতে আইনটি কার্যকারিতা হারায়।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকারে এসে ২০০০ সালে নতুন আইন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। সে আইনটি মাঝে ফের অকার্যকর থাকে।
পরবর্তীতে নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় নিজ দলের নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয় আওয়ামী লীগ।
এদের মেয়াদ শেষ হলে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো সারাদেশের ৬১ জেলায় নির্বাচন দেওয়া হয়। সে সময় ১৯ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।