রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ অক্টোবর, ২০২২ ২:৩৪ : অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এতে বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও প্রায় ৪০০ জনকে।
আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কোনো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
গতকাল শুক্রবার রাত ২টার দিকে কোতোয়ালি থানার এসআই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস কর্মকাণ্ড এড়াতে শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা অবস্থান কর্মসূচি করার জন্য শহরের রেলওয়ে স্টেশন কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জমায়েত হয়। বিকেল তিনটার দিকে তারা অবস্থান নিলেও সাড়ে চার দিকে গোলযোগ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, প্রমাণ গাইবান্ধা: ফখরুল
বিকেলের দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে কয়েকশ’ নেতা-কর্মী নগরীর বাঘমারা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মুখোমুখি হলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের একজন এসআই ও মহনগর আওয়ামী লীগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আহত হন। পরে পুলিশ দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বিএনপির সমাবেশ হয়েছে পলিটেকনিক মাঠে। সেখান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল করে স্টেশন চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা করে। এতে পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের কাজে বাধাদান, হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে হামলা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন নিজেরাই আহত হয়। পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ট্রেনে তুলে দেয়। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করায় আমরাও মামলা করব।’