রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৩ অক্টোবর, ২০২২ ১১:৪৪ : অপরাহ্ণ
তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘যদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে বাইরের কেউ এসে বলে বসে, এটি চীনের আরেকটি ঋণের ফাঁদ হবে অথবা এখানে যদি সুনির্দিষ্ট ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার কারণে বাংলাদেশ শেষ মুহূর্তে এসে বলে বসে যে, ‘দুঃখিত চীন, আমরা আর সামনে এগিয়ে যেতে পারছি না’। এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিষয়টি আমাকে বেকায়দায় ফেলবে এবং আমি বিব্রত হবো।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে চীনের ভাবমূর্তি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গত বছর বাংলাদেশ সরকার চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের আগ্রহ রয়েছে। চীন সরকার বিষয়টিকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করছে।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের আগ্রহের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষ নিয়ে ভয় পাচ্ছেন জানিয়ে লি জিমিং বলেন, ‘আমি খোলামেলাভাবে বলতে চাই যে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের কিছুটা অনীহাও আছে। কারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পেছনে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় আছে, যা এরইমধ্যে আমরা টের পেয়েছি।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সহকর্মীদের নিয়ে আমি রংপুর বিভাগ পরিদর্শন করেছি। সেখানে শুধু তিস্তা প্রকল্প নয়, ওই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি কীভাবে হতে পারে, তা আমরা দেখেছি। সেখানে উন্নয়ন প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করতে চায়। এ ছাড়া আমরা সিলেট গিয়েছিলাম। সেখানেও দেখেছি।’
আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
লি জিমিং বলেন, ‘একটি বিষয় আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, তিস্তা অঞ্চলের স্থানীয় জনগণ প্রকল্পটি চায়। সম্প্রতি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে স্থানীয় জনগণের অভিমত দেখে আমি খুবই আশাবাদী, যা বেইজিংকে জানাবো। তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন স্পর্শকাতর। কিন্তু এটি খুবই ইতিবাচক একটি প্রকল্প, যা ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন নীরবে কাজ করছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন মধ্যস্থতা করছে। ইতোমধ্যে ত্রিপক্ষীয় তিনটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের অগ্রগতি পুরোপুরি প্রকাশ করা এখনই ঠিক হবে না। গত মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মিয়ানমার ইস্যুতে আমাকে জানিয়েছেন। পরে চীন মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছে।’