রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২৬ : পূর্বাহ্ণ
লক্ষ্যটা মোটেই সহজ ছিল না। নিউজিল্যান্ডকে হারাতে হলে বাংলাদেশকে পাড়ি দিতে হতো ২০৮। এই কঠিন লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে লড়াই করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু অধিনায়কের একার লড়াই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।
আজ বুধবার ক্রাইস্টচার্চে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। ২০৮ রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬০ রানেই থেমে যায় সাকিব আল হাসানের দল।
এ পরাজয়ের ফলে ফাইনালের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে লাল-সবুজের দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও কনওয়ে মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৪৫ রান।
পঞ্চম ওভারে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল। ফিরিয়ে দেন ঝড় তোলান অ্যালানকে। তিন ছক্কা আর দুই বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ৩২ রান করেন কিউই ওপেনার ।
অ্যালেন ফিরলেও রানের ঝড় থামাননি কনওয়ে ও গাপটিল। কনওয়ে ৩০ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি করেন।
তবে দলীয় ১২৭ রানে গাপটিলকে ফিরিয়ে ৮৬ রানের জুটি ভাঙেন এবাদত। দলে ফেরা গাপটিল ২৭ বলে ৩৪ রান করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়।
এরপর ছুটতে থাকা কনওয়ের তাণ্ডব থামান সাইফউদ্দিন। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৪০ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ওপেনার।
কিন্তু তিনি ফিরলেও নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা সচলই ছিল। কারণ ততক্ষণে উইকেটে থিতু হয়ে যান গ্লেন ফিলিপস।
শেষ দিকে সাইফউদ্দিনদের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘোরান তিনি। ছক্কা বৃষ্টিতে তুলে নেন দ্রুত হাফসেঞ্চুরি। তার শেষের ঝড়ে দুইশ ছাড়ানো পুজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
মাত্র ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন ফিলিপস। ২৪ বল খেলে করেন ৬০ রান।
বাংলাদেশি বোলাররা সবাই দেদারসে রান বিলিয়েছেন। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। ইবাদতও নেন দুটি উইকেট।
সমান ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে একটি নেন শরিফুল। সাকিব ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়ে ১২ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের ওপেনার।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না লিটনও। ব্রেসওয়েলের বলে ১৬ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে এই ওপেনার। বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৪৭ রানে।
এরপর সাকিব-সৌম্যের জুটিতে স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। তবে আশা জাগিয়েও ফিরতে হল সৌম্যকে। ১৭ বলে তিন চারে ২৩ রান করে মিলনের বলে বিদায় নেন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় ২৭ বলে ৪৩ রানের জুটি।
এরপর ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না আফিফও। ৪ বলে ৪ রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের শিকার তিনি। ৪ উইকেট পতনের পর সাকিবের সঙ্গী হয়েছিলেন ফর্মে থাকা সোহান।
তবে দলকে বিপদে ফেলে মাত্র দুই রান করতেই আউট বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। ইয়াসির রাব্বি করেন ৬ রান।
এদিকে ব্যাট হাতে একাই লড়ে যান সাকিব। দেখা পান অর্ধশতকের। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে থামেন সাকিব। মাত্র ৪৪ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি আটটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।
শেষ পর্যন্ত ১৬০ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ।