নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১১ অক্টোবর, ২০২২ ১০:১৮ : পূর্বাহ্ণ
দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া তিন সপ্তাহের এ কর্মসূচিতে প্রায় এক কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার আট সপ্তাহ পর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, দেশের ৪২৭টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শামসুল হক বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় টিকা পাওয়ার যোগ্য ৯৮ লাখ শিশু শিক্ষার্থীর তথ্য দিয়েছিল। তবে বাস্তবে আরও বেশি হবে সংখ্যাটি। কারণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, যেসব শিশু বিদ্যালয়ে আসে না, ভাসমান শিশুদের সংখ্যাটিও যোগ হবে। সে হিসাবে এক কোটির বেশি শিশু এই টিকা পাবে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেরে বাংলা নগরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়। এরপর থেকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেয়া হচ্ছিলো এই টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ১২ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি শিশু প্রথম ডোজ নিয়েছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৩ কোটি ২০ লাখ ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ, ১২ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ জন তৃতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন।
সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে উল্লিখিত বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের পর টিকা কার্ড নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গেলেই দেওয়া হবে টিকা।