রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৭ অক্টোবর, ২০২২ ১১:৫৫ : পূর্বাহ্ণ
কিছুটা আশা দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন দলকে আশাবাদী করে তুলেছিলেন। কিন্তু সেই পুরনো চিত্র। ধারাবাহিকতার ঘাটতি। লিটন দাস সাজঘরে ফিরলেই উইকেট পড়ার মিছিল শুরু হয়, তা আর থামেনি।
নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে লাল-সবুজের দল।
আজ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশ সময় সকালে শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ভ্রমণ ক্লান্তির কারণে এই ম্যাচে খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে। ১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলিংয়ে চাপে ছিল পাকিস্তান। তবে পাওয়ার প্লে’তে কোনো উইকেট হারায়নি তারা।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ২২ রান করে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন অধিনায়ক বাবর আজম।
তিন নম্বরে নামা শান মাসুদ প্রথমে অস্বস্তিতে থাকলেও দ্রুতই হাত খোলা শুরু করেন। তবে তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি বাংলাদেশ।
দলীয় ৯৪ রানে নাসুম আহমেদের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে শানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। শান মাসুদ ফিরে যান ২২ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করে।
এরপর হায়দার আলীও দ্রুত ফিরে যান। তবে অন্যপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন রিজওয়ান। শেষদিকে কেউই আর উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
ইনিংসে শেষে ৫০ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। আর হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট পান।
১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সতর্কভাবেই শুরু করে দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। কিন্তু জুটিটি শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যেতে পারেনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে স্কয়ার লেগে আসিফ আলীর তালুবন্দী হোন অলরাউন্ডার মিরাজ। সাজ ঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ১০ রান করেন তিনি।
মিরাজের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে ১২ রান যুক্ত হতেই বিদায় নেন সাব্বিরও। হারিস রউফের বলে তারই তালুবন্দী হন ১৮ বলে ১৪ রান করা সাব্বির।
১২তম ওভারে পাকিস্তানি স্লো বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের পরপর দুই বলে উইকেট হারান লিটন দাস এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
ওভারের তৃতীয় বলে হায়দার আলীর তালুবন্দি হন লিটন দাস। স্কয়ার লেগে প্রথমে বল থামানোর পর সেটিকে সহজ ক্যাচ বানিয়ে নেন হায়দার। ২৬ বলে ৩৫ রান করে থামেন লিটন।
পরের বলেই পেছনের পায়ে ভর দিয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হোন মোসাদ্দেক হোসেন। আম্পায়ারের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন, তবে কাজে আসেনি সেটি।
পরপর দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যটট্রিকের সুযোগ ছিল নেওয়াজের। কিন্তু হ্যাটট্রিক না হলেও দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ বিপদে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
পরে একপাশ আাগলে দারুণ খেলছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন তিনিও। ২৩ বলে ২৫ রান করে শাহনাওয়াজ ধানির বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে পারেন। এ কারণে তারওপর প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু ৯ বল খেলে ৮ রান করে বিদায় নেন তিনিও।
পাকিস্তানের হয়ে পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। পেসার দাহানি ২৪ রানে একটি ও স্পিনার নওয়াজ ২৫ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট।