সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা স্বাস্থ্য

ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগ, সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ অক্টোবর, ২০২২ ৬:৪৯ : অপরাহ্ণ

দেশে নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চোখ ওঠা রোগ বা কনজাংটিভাইটিস ভাইরাস। দ্রুত সংক্রমণশীল এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে।

চোখ ওঠা রোগ হলে আতঙ্কিত না হয়ে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কনজাঙ্কটিভাইটিসের লক্ষণ হলো, চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা বা অস্বস্তি। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে।

এ রোগে চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে ও লাল হয়ে যায়। আলোয় চোখে অস্বস্তি বাড়ে।

চক্ষু চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগটি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ঋতু পরিবর্তন। অর্থাৎ বর্ষার শেষে এবং শীতের শুরুতে সাধারণত এমন ভাইরাসগুলো গ্রো করে থাকে। এটি খুব সহজেই একজন মানুষ থেকে আরেকজনে ছড়ায়।

তবে ছোঁয়াচে ও অতি সংক্রমণশীল এই ভাইরাসটি খুব ক্ষতিকর নয়।

দেশে হঠাৎ করেই বেড়েছে এই চোখের সংক্রমণ। যা সাধারণভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। এই অবস্থায় আক্রান্তদের বিদেশ ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে রোগটি এই মৌসুমের নয়। গ্রীষ্মকালীন এই ভাইরাসটি এবার শরতে এসে হানা দিয়েছে।

চক্ষু চিকিৎসকরা জানান, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। এটি এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। এক সপ্তাহের মধ্যে তা সেরে যায়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর সাধারণ চিকিৎসাতেই এটি সেরে যায়। তবে, রোগটি যেহেতু ছোঁয়াচে তাই রোগীদের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

এ রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। রোগীর ব্যবহারের রুমাল, তোয়ালে, বালিশ অন্যরা ব্যবহার করলে এতে আক্রান্ত হয়। এছাড়া এটি বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাবান পানি দিয়ে কিছুক্ষণ পর পরই হাত পরিষ্কার করতে হবে। কোন কারণে চোখ ভেজা থাকলে চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে।

ব্যবহারের পর টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে। এছাড়া চোখ উঠলে কালো চশমা ব্যবহার করা ভালো।

এতে চোখে স্পর্শ করা কমবে এবং ধুলাবালি, ধোঁয়া থেকে চোখ রক্ষা পাবে। আলোয় অস্বস্তিও কমবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করা যায়।

এই রোগের চিকিৎসা সর্ম্পকে কর্নিয়ার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কাদের বলেন, এই রোগে কার্যকরী এন্টিভাইরাল ওষুধ নেই। তবে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে নিতে হবে। এর জন্য চোখ ও এর চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। বার বার নখ বা হাত দিয়ে চোখ চুলকানো না বা রগড়ানো যাবে না। ময়লা জমলে টিস্যু পেপার বা পাতলা নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকেই মনে করেন পানির ঝাপটা দিলে আরাম পাওয়া যাবে। কিন্তু বার বার চোখে পানি দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, তবে সব সময় হাত-পা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। রাস্তায় নোংরা পানির সংস্পর্শে এলে বাড়ি ফিরেই হাত-পা ধুয়ে ফেলতে হবে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর