নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৭:১৬ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার নামে হয়রানি করছে। এটি সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর কমিটির তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সংবিধান, ফৌজদারী কার্যবিধি, পুলিশ আইন বা পুলিশবিধি কিংবা অন্য কোনো আইন দ্বারা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুন্ন করছে, তেমনই নাগরিকের আইনি অধিকার ভোগ করা এবং তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে প্রতীয়মান হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চলমান অবস্থায় প্রতীয়মান হয় যে, পুলিশ বিএনপিসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনের উদ্দেশে গণহারে শুধু নাম ঠিকানা নয়, তাদের পেশা, সন্তান-সম্পত্তির বিবরণ আত্মীয়-স্বজনদের যাবতীয় বিষয়, তথ্যসংগ্রহ করছে।’
‘পুলিশের কর্মকাণ্ড দেশে বিরাজমান আতঙ্কের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলছে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি এই অবস্থার অবসান চায়। আমরা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, এভাবে সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ব্যতীত প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন সংলাপে ইভিএমের বিপক্ষে কথা বললেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইভিএম মেশিন কেনার জন্য নয় হাজার কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এর মানেই হচ্ছে, এই দেশে কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না।’
সংবাদ সম্মেলনে সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের দেশের জন্য গর্ব বয়ে আনায় বিএনপির পক্ষ থেকে ও খালেদা জিয়ার পক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।