রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:১৯ : পূর্বাহ্ণ
অবশেষে মুখ খুললেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে করার কিছুই ছিল না তাদের। সরকারি দলের কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো সেই নির্বাচন।
দায়িত্ব ছাড়ার ছয় মাস পর আজ রোববার বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল 24-এর মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন।
২০১৭ থেকে ২০২২। পাঁচ বছরে জাতীয় সংসদসহ ছয় হাজারেরও বেশি নির্বাচন করে নূরুল হুদার কমিশন। হাতে গোনা দু’একটি বাদে যার বেশিরভাগ ভোট নিয়েই ছিল বিতর্ক আর নানা প্রশ্ন।
এসব প্রশ্নবিদ্ধ ভোটে যখন ভেঙে পড়ে নির্বাচন ব্যবস্থা, তখন নির্বিকার ছিল হুদা কমিশন।
তবে দায়িত্ব ছাড়ায় কিছুটা খোলামেলায় নূরুল হুদা বললেন, ‘সরকারি দলের কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল সে সব নির্বাচন। যারা সরকারের দলে থাকে তাদের প্রভাব থাকতে পারে, তাদের এইসব সুযোগ নেওয়ার আছে।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে কমিশনের সীমাবদ্ধতার প্রসঙ্গে তুলে সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ যখন আছে তাহলে কোথাও কোথাও এই ধরনের সত্যতা থাকতে পারে। আমরা জানি না সঠিক কিনা। যদি হয়ে থাকে সেটি খারাপ। কেউ রিপোর্ট না করলে নির্বাচন কমিশনদের ওই পর্যন্ত গিয়ে দেখভাল করার সুযোগ নাই।’
তাহলে, বাংলাদেশে আর কবে ফিরবে সুষ্ঠু নির্বাচনী ধারা?-এমন প্রশ্নে হতাশার বাণী সাবেক এই সিইসির কণ্ঠে।
তার কথায়-‘সময় লাগবে আরও দু’শো বছর। ইংল্যান্ডে ১৮৮৩ সাল থেকে ২০০ বছর লেগেছিল নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা ফেয়ার করার পেছনে। আমরা যদি কনভেনশনাল নিয়মে যাই, তাহলে আমাদের ২০০ বছর সময় লাগবে।’
তবে সমাধান কী নিরপেক্ষ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায়? এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আসার পক্ষে আমি না। আমি এটার বিপক্ষে। ভুল যাই হোক না কেন, এই কনভেনশনাল নিয়মের মধ্যে হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্ট একটা খারাপ কনসেপ্ট।’
সাবেক এই সিইসি মনে করেন, ‘গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও আগামী ভোটে তাদের আনাটাই বর্তমান কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে বড় বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে ভালো হবে।’
নূরুল হুদা মতে, ‘নির্বাচনী এই সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে পারে শুধুই ইভিএম’র ভোট।’