রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৭ আগস্ট, ২০২২ ১০:০৩ : পূর্বাহ্ণ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। প্রেম, দ্রোহ ও সাম্যের এই কবি ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট (বাংলা ১২ ভাদ্র) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তখন সেটি পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত ছিল।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন তিনি।
এদিকে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়া বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। অন্যদিকে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট তার স্মরণে বিকেল সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে (বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পরাধীন ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। শৈশবে তিনি ‘দুখু মিয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন।