রবিবার, ৫ মে, ২০২৪ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

দেশ ছেড়ে পালানোর সময় পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগী গ্রেপ্তার


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৪ আগস্ট, ২০২২ ৩:২১ : অপরাহ্ণ
গ্রেপ্তারকৃত শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদ (৩৭)। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

দেশ ছেড়ে পালানোর সময় প্রতারণার মাধ্যমে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড (পিএলএফএসএল) কোম্পানির প্রায় দুইশ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদ (৩৭)। তারা দুই বোন।

তারা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিনের মেয়ে। খবির উদ্দিন হলেন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী।

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রায় দুইশো কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদার ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বন্দি।

র‍্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত দুই নারী ঋণখেলাপী। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকে ৬৪ কোটি টাকার ঋন নিয়েছিলেন তারা।

আজ বুধবার দুপুরে দুই বোনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, তার দুই নারী সহযোগী বাংলাদেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। এরই ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, দুই বোন কানাডায় বসবাস করেন। সেখানে বসেই বাবার সহায়তায় শারমিন ৩১ কেটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত করেছে। দুই মেয়ের নামে এ ঋণ নিয়েছেন তাদের বাবা খবির উদ্দিন। তবে সেই টাকা বাবা নয়, তারাই ভোগ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরই মধ্যে চলতি বছরের ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির ঋণ খেলাপীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। গত ২৮ জুলাই দুই বোন বাংলাদেশে আসেন। আজ গোপনে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেছিল তারা। দেশ ছাড়তে তাদের মালামাল একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয় তারা।

এদিকে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ ৬ জনকে চলতি বছরের ১৪ মে কলকাতার বৈদিক ভিলেজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বান্ধবী, আপন ভাই ও দুই ভাগ্নে। পরে তাদের দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নেয় ইডি।

তারা ৯২ দিন ধরে বন্দি রয়েছেন। তাদের ‌আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতের বিচারক।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর