রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ আগস্ট, ২০২২ ১০:১৮ : পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও এক বিচারপতির ছেলে ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে দেয়া সনদ স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ সময়ের মধ্যে তিনি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে রায়ে এ বিষয়ে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর।
২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট করেন।
জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
রিটে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের বিচারপতির ছেলে জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এই বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি তারিক উল হাকিম আপিল বিভাগে পদোন্নতি পাওয়ায় রুলটি বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে শুনানি হয়।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গেজেট প্রকাশ বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।