নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২০ আগস্ট, ২০২২ ২:৩৫ : অপরাহ্ণ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারের কাছে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সাহায্য করেন।’ তাদের কথায় বুঝা যায়, ভারত সরকারের আনুকূল্যেই এই সরকার টিকে আছে।’’
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিং, তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কালকেও তাদের বলেছিলাম, এটা ব্যাখ্যা আমরা জানতে চাই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু তার জায়গা থেকে সরে আসেননি। তিনি গতকাল একটি বক্তব্য দিয়েছেন এবং সেই বক্তব্যে তিনি আবারও ওটাই নিশ্চিত করেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। নিজেদেরকে স্বাধীন বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের এই দেশ শাসন করার কোনো অধিকার নেই। তাদের এ দেশের সরকারে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘মিডিয়ায় উঠে এসেছে, ‘আয়না ঘর’ নামে একটি টর্চার সেল আছে। সেই টর্চার সেলে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে, মানুষদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টর্চার করা হয়। দিনের পর দিন মাসের পর মাস সেখানে রাখা হয়। তারপর কাউকে কাউকে হত্যা করা হয়, আবার কাউকে বছরের পর বছর রেখে দেওয়া হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পূর্বে আপনারা কি কখনো গুমের কথা শুনেছেন? কখনোই শোনেননি। জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কথা শুনেছেন? এখানে এখন তাই হচ্ছে। এভাবে বিরোধী পক্ষকে, বিরোধী মতকে দমন করার জন্য যে ফ্যাসিস্ট কায়দা, সেই কায়দায় তারা দেশকে এখন দখল করে পুরোপুরিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই পথগুলো অনুসরণ করেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় অপরাধ কোনটা? সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশের যে আত্মা, সে আত্মাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের আত্মা ছিল একটি গণতান্ত্রিক আত্মা। আমাদের এসব স্বপ্ন ছিল সমৃদ্ধের গণতন্ত্রের একটি বাংলাদেশ, একটি মুক্ত সমাজ। সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সব সংকটের মূলে যে সংকট সেটি কী? সেটি হছে- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ জোর করে বিনা ভোটে, নির্বাচিত না হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আজ ক্ষমতায় বসে আছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংবাদিক নেতা কাদের কোন চৌধুরী প্রমুখ।