নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :১৮ আগস্ট, ২০২২ ৪:১৮ : অপরাহ্ণ
মনোনয়ন বাণিজ্যের লোভেই বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতই মুখে বলেন, বাস্তবে আমরা তো বুঝি, বিশাল একটা মনোনয়ন বাণিজ্য আছে। এই লোভ আপনারা সামলাতে পারবেন না। নির্বাচনে যেতে হবে। ’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনো দিনও দেখা দেবে না। এই দেশে ভিত্তি নিয়ে নির্বাচনে যেতে হয়। এ দেশে আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যাবে। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতা পাওয়া যাবে না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৩ বছর ধরে কত শুনলাম রোজার ঈদের পরে, কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন। ১৩ বছর হয়ে গেছে কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি এখনো অনেক দূরে।’
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য।’
বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলার ইতিহাস বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৭৫; মিলিয়ে দেখুন, ১৭৫৭ সালের মীর জাফরের জায়গায় খন্দকার মুশতাক, সেনাপতি ইয়ার লতিফ-রায় দুর্লভের জায়গায় সেনাপতি জিয়াউর রহমান। এটাই বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকলে খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দুঃসাহস পেতো না। আবার এই খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান। কাউকে রাষ্ট্রদূত বানিয়েছে, কাউকে সচিব পদে প্রমোশন দিয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘‘হত্যাকাণ্ড শেষে মেজর ডালিমকে জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ‘ওয়েল ডান! মেজর ডালিম। ইউ হ্যাভ ডান এ গ্রেট জব!’ মীর জাফর তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। বাংলাদেশে খন্দকার মোশতাকও তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এটাই ইতিহাস। কেন খুনিদের বিচার করা যাচ্ছে না? কারণ, কানাডা তাদের ফেরত দিচ্ছে না। আমরা তাদের অনুরোধ করবো, খুনিদের ফেরত দিন। এটা বাংলার মানুষের দাবি।’
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গবেষক, ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।